প্রজেক্ট এক টাকায় খাবার এর মুখপাত্র এবং পরিচালক জনাব রাফাত নুরের ফেসবুক থেকে জানা যায়। প্রজেক্ট এর টুইটার একাউন্টটি কে বা কাহারা মিথ্যা রিপোর্ট করে বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর প্রজেক্ট এর আইটি ও টেকনিক্যাল বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকগন টুইটারের সাথে যোগাযোগ করলে টুইটার এক টাকায় খাবারের একাউন্ট ফেরত দিয়ে দেয় এবং মেইল করে একাউন্ট চালু করে দেওয়ার বিষয়টি অবহিত করে।
বিচারপতি জনাব সিকদার মকবুল হক/ পীরজাদা শহিদুল হারুন (সচিব অর্থ মন্ত্রনালয়)/ অধ্যাপক কামদা প্রসাদ সাহা(পরিচালক স্বাস্থ,শিক্ষা,পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়)/বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব অলিয়ার রহমান খান/ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হক সিকদার, প্রমুখ উপস্থিত থেকে, সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ প্রজেক্ট এর পরিচালক জনাব রাফাত নুরের হাতে সনদ ও পদক হস্তান্তর করেন। এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতিনিধি হিসাবে রাফাত নুরকে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ প্রদান করেন। সকল স্বেচ্ছাসেবকদের শুভেচ্ছা রইলো
প্রান্তিক অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের শুকনা খাবার বিতরনের সেবা কর্মসুচিতে আজ এই যাত্রা শুরু হলো। উল্লেখ্য ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন পৃথিবীর ২০০ টি রাষ্ট্রে সেবা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে এক টাকায় খাবার এর স্বেচ্ছাসেবকেরা বাংলাদেশ সহ, ভারতের বেশ কিছু প্রদেশে এক টাকায় খাবার এর কনসেপ্ট ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও কানাডা,লন্ডন এর বিপদ গ্রস্থ হোমলেস এবং মিডলইস্টে বিপদগ্রস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কাজ শুরু হয়েছে।
অত্যান্ত বেদনার সাথে জানাচ্ছি আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের সুদির্ঘ আট বছরের পরিশ্রম এর প্রকাশনা হতো যে পেইজ থেকে, সেই “ প্রজেক্ট এক টাকায় খাবার” যার লিংক www.facebook.com/onetakafood পেইজটাকে আজ 25 Aug 2020 তারিখ আনুমানিক বাংলাদেশ সময় ৬.৪৫ বা এর কিছূ আগে পরের সময় থেকে আর অনলাইন দেখা যাচ্ছেনা। দেখা যাচ্ছে না বলতে পেইজটা সার্চ করলে অনলাইনে শো করে না। এবং এর এডমিন যারা ছিলো তারাও তাদের ড্যাশবোর্ডে এটা দেখতে পাচ্ছে না। পেইজের পোস্ট সমুহ দেখা যাচ্ছে না। এটা ফেসবুকের কোন সমস্যা নাকি কোন অনাকাংখিত রিপোর্ট এর কারনে এমন হয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি। এডমিন বা সদস্যদের নিকট ফেসবুক হতে কোন নোটিফিকেশনও আসেনি জানামতে। সুদির্ঘ ৮ বছর ধরে চলা এই কর্মসুচিটি যাবতিয় প্রকাশনার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে পেইজটা ব্যবহৃত হতো। বিষয়টি অত্যান্ত বেদনাদায়ক, দির্ঘ সময় ধরে পেইজটা স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন ভালো কাজকে প্রকাশ করে আসছিলো। আজ সেই পেইজটা কোন এক অজানা কারনে নাই হয়ে গেলো। স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচালনা পর্ষদ হতে পরবর্তি নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হবে।
দৃষ্টিহীন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল গ্রিন ডিজেবল ফাউন্ডেশন স্কুলে আজ আনন্দঘন সময় কাটালো, প্রজেক্ট এক টাকায় খাবারের সিলেট স্বেচ্ছাসেবক টিম। আজ সকাল হতে শুরু হয়েছে রান্নার আয়োজন, স্কুলের সকল অন্ধ ছাত্র ছাত্রীবৃন্দর সাথে আড্ডা গল্প আর গানের মাধ্যমে আনন্দঘন সময় কাটিয়েছে সিলেটের স্বেচ্ছাসেবকেরা।
একদিকে চলছে রান্নার আয়োজন অন্যদিকে গান গল্প কবিতা আবৃত্তি আর কোর আন তেলোয়াতে পরিবেশটি হয়ে উঠেছিলো অনাবীল আনন্দে মুখর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, গ্রিন ডিজেবল ফাউন্ডেশনের শিক্ষকবৃন্দ।
আয়োজনটি সফল ভাবে পরিচালনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে সিলেটের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন, আহমেদ নাজীম পান্না, এম সুহেল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, রঞ্জিৎ নাথ , ফুলের মতো নিস্পাপ শিশুগুলো অন্ধত্বের কারনে সুবিধাবঞ্চিত, কেবল মাত্র খাদ্য সংকট নয়, তাদের মনের আনন্দ ও মনের সাহস যোগাতে নিয়মিত বাচ্চাদের সাথে অনাবিল আনন্দময় সময় দেওয়া একান্ত দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। এবং সেই দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে আজকের কর্মসুচি পরিচালিত হয় । মুরগীর ঝোল,সবজি,ডাল আর ভাতের শেষে মিস্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছিলো এই শিশুদের।
বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার, পাকুল্লা ইউনিয়ন ও তেকানি চুকাইনগর ইউনিয়নের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য আয়োজন করা হয়েছিলো ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। দুই ইউনিয়নের ৬৫০ সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ডাক্তারী সেবা সহ ওষুধ বিতরন করা হয়েছে।
বন্যায় আক্রান্ত এই সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য চিকিৎসা সেবা খুব প্রয়োজন ছিলো, আর এই প্রয়োজন অনুভব করে মেডিকেল ক্যাম্পটি পরিচালিত হয়, আর এই মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনায় এগিয়ে এসেছে উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট অফ বাংলাদেশ সংগঠন, ফেসবুক গ্রুপ SSC 97 HSC 99 এর সদস্যগন ও পরিচালক বৃন্দ। উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট অফ বাংলাদেশ এর পরিচালক উম্মে ফাতিমা লিসা ও তার স্বেচ্ছাসেবকগন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ফেসবুক গ্রুপ SSC 97 HSC 99 মডারেটর মুন্তাসির সানিয়াত উপস্থিত ছিলেন, গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জনাব জাহিদ ও জনাব অয়ন। প্রজেক্ট এক টাকায় খাবার এর পরিচালক জনাব রাফাত নুর ও বন্যা দুর্গত অঞ্চলের সেবায় নিয়োজিত প্রজেক্ট এক টাকায় খাবার এর স্পেশাল দল “ টিম টর্নেডো” কর্মসুচি চলাকালিন উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকলের আন্তরিক কর্ম দক্ষ্যতায় একটি সফল মেডিকেল ক্যাম্প বাস্তবায়ন হয়েছে।