যে তথ্যগুলো স্বেচ্ছা সেবক হিসাবে অবশ্যই জানা থাকতে হবে।

একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে আপনি যে কোন সময় কিছু প্রশ্নের সন্মুখীন হতে পারেন। সম্ভাব্য প্রশ্ন সমুহের উত্তর আপনার জানা থাকা উচিৎ। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।

১- প্রজেক্ট এর পরিচালনায় টাকা আসে কোথা হতে?
উত্তরঃ আমাদের টাকার প্রথম উৎস হলো ছবির হাট পেইজ, ছবির হাট পেইজের চিত্র শিল্পীরা পেইন্টিং ও পোটরেইট বিক্রয়ের এর একটা অংশ আমাদের এই প্রজেক্ট এ দান করে। আর ২য় উৎস হলো আমাদের প্রজেক্ট এর সাথে যুক্ত কিছু সদস্য যারা নিয়মিত আমাদের প্রজেক্ট পরিচালনার জন্য খরচ বহন করেন।

২- আমরা কোন ধরনের সুবিধাবঞ্চিতদের খাবার বিতরন করে থাকি?
উত্তরঃ বৃদ্ধ, শারীরিক প্রতিবন্ধি, ছোট্ট শিশুদের জন্য খাবার বিতরন করে থাকি।

৩- কেন একটাকার বিনিময়ে খাবার বিতরন করি বিনামুল্যে নয় কেন?
উত্তরঃ আমরা এক টাকা গ্রহন করি যাতে তাদের মধ্যে ভিক্ষা বা করুনাবোধের সুযোগ না থাকে।

৪- যার কাছে এক টাকাও না থাকে তারা কিভাবে খাবার নেয় ?
উত্তরঃ কারও কাছে এক টাকাও যদি না থাকে তবে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক গন তাকে লুকিয়ে এক টাকা দিয়ে দেয়। এবং এই এক টাকার বিনিময়ে তাদের ছোট একটা কাজ দেয়া হয়, যেমন অন্য কোন শারীরিক প্রতিবন্ধি সুবিধাবঞ্চিতকে খাবারের প্যাকেট খুলতে সাহায্য করা , অথবা নতুন কোন সুবিধাবঞ্চিত খুজে পেতে আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করা।

৫- এই ধরনের আরও একটি প্রজেক্ট রয়েছে যার নাম এক টাকায় আহাড় (বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন) , নামের মিল রাখার কারন কি ?
উত্তরঃ প্রজেক্ট এক টাকায় খাবার কর্মসুচীটি ছবির হাট সংস্থা কতৃক পরিচালিত, ২০১২ সাল হতে ছবির হাটের শিল্পীদের উপার্জিত অর্থ দ্বারা খাদ্য,মেডিকেল, ও স্বনির্ভরতা বাস্তবায়নের কর্মসুচী পরিচালনা হয়ে আসছে। এই ইতিহাস সর্বজন কতৃক স্বিকৃত এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের তৎকালীন বহু ব্লগারগন এই প্রজেক্ট এর সাথে একাত্বতা ঘোষনা স্বরুপ রুশান মেডিকেল হেল্প সাপোর্ট কর্মসুচীতে কাজ করেছেন।এছাড়াও ছবির হাট পেইজের ক্রিয়েশন তারিখ দেখলেও কিছুটা অনুমান করা যাবে ।  তাই কোন সংস্থা আমাদের কর্মসুচীর নামের সাথে মিল রাখলো সেটা আমাদের জবাবদিহির বিষয় নয়। আর বিদ্যানন্দের এই কর্মসুচীটি খুব সম্ভবত ২০১৬ সালে শুরু হয়েছিলো।
তবে যেহেতু কর্মসুচীর ধরন একই রকম তাই নামের মিল রয়েছে, যেমন শীত বস্র প্রজেক্ট এ সকল সংগঠন শীত বস্রই লেখে, আর যেহেতু এক টাকার বিনিময়ে উভয় প্রজেক্ট খাবার বিতরন করে তাই নামের শুরুতে এক টাকা শব্দটি রয়েছে।  আরো একটি গুরুত্বপুর্ন তথ্য হলো,
আমাদের কর্মসুচীর নাম প্রজেক্ট এক টাকায় খাবার, আর বিদ্যানন্দের কর্মসুচীর নাম এক টাকায় আহাড়,
আমরা আমাদের প্রতিটি কর্মসুচীর শুরুতে প্রজেক্ট শব্দটি ব্যবহার করি , আর আমরা এটাকে খাবার বলে অভিহিত করি ওনারা আহাড় বলে থাকেন। অতএব বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ থাকে না।

৬- এমন মানুষদের খাবার খাইয়ে কয়দিন চালাবেন? উপার্জনমুখী কোন কাজে কেন উৎসাহিত করছেন না? এভাবে খাওয়ালে তারা পথে থাকতে উৎসাহ পাবে।
উত্তরঃ আমরা যাদের খাবার দিচ্ছি তাদের অনেকেই বেশ বৃদ্ধ, খাবার প্যাকেটও অনেকে খুলতে পারেন না , আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা খাবার খুলে বাটিতে বা থালায় ঢেলে দেয়। এই ধরনের মানুষদের কোন কাজে জড়িত করা একেবারেই অসম্ভব ও ঝুঁকিপুর্ন। কিছু মানুষ আছে যারা সামান্য উপার্জন করে কিন্তু সেটা তিন বেলা খাওয়ার জন্য যথেস্ট নয়, যাতে করে সে চাহিদা পুরনে কোন অসৎ কাজ বা চুরি রাহাজানিতে জড়িত না হয় সেই শর্তেই খাবার দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই উপার্জনের বৃদ্ধির পর থেকে আমাদের হতে খাবার নেয় না সেটা আমাদের রিসার্চ টিমের নজড়ে এসেছে। আর খাবার দেয়ার পাশা পাশি , সততা , পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থগত পরামর্শ, দেশ প্রেম সহ যাবতীয় অনেক বিষয়ে ধারনা দেয়া হয়।

৭- আপ্নাদের সাথে যোগাযোগের পদ্ধতি কি ? আপ্নাদের সাথে কাজ করতে চাইলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ আমাদের পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা ফোন করুন 01707788881 / 01723388571 ।

৮- আপ্নাদের কোন অফিস রয়েছে কিনা ?
উত্তরঃ ঢাকাতে আমাদের একটি অস্থায়ী অফিস রয়েছে, কেয়ার অফ রাফাত নুর, ৫৩ গ্রিন টাওয়ার , গ্রিনরোড ,

৯- আপ্নারা খাবার বিতরন বাদে আর কি কোন কাজ করছেন ?
উত্তরঃ এক টাকার বিনিময়ে খাবার বিতরন বাদেও আমরা এক টাকায় কম্পিউটার প্রশিক্ষনের একটি প্রজেক্ট পরিচালনা করছি (অর্থসংকটের কারনে এটা আপাতত বন্ধ রয়েছে তবে  এর জন্য অনুদান আশা করছি না) , সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এর ব্যবস্থা রয়েছে , বিভিন্ন প্রকার সামাজিক সচেতনতা মুলক কর্মসুচী যেমন মশা বাহিত রোগ হতে রক্ষা পাওয়ার উপায় ইয়াবা বা অন্যান্য মাদকের কুফল নিয়ে প্রচারনা করছি , এ বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারীত জানতে আমাদের পরিচালনা পর্ষদে ফোন করতে পারেন। সুবিধাবঞ্চিতদের দোকান নামে আমাদের একটি কর্মসুচী পরিচালনা হচ্ছে ।

১০- আপ্নাদের প্রজেক্ট দেশের কোন কোন স্থানে পরিচালিত হচ্ছে ?
উত্তরঃ আমাদের প্রজেক্ট এর ক্ষেত্র গুলো গ্রাম মফস্বল ও শহরের পার্শবর্তি অনুন্নত এলাকা সমুহে। বর্তমানে বরিশাল এর কিছু দুর্গম অঞ্চল ও শহরের পার্শবর্তি প্রবেশ মুখ এলাকা গুলোতে পরিচালনা হচ্ছে।

১১- কেন গ্রাম বা মফস্বল এলাকায় কর্মসুচী পরিচালনা করা হচ্ছে ?
উত্তরঃ সাধারনত গ্রাম বা দুর্গম এলাকা গুলোতে নিয়মিত ভাবে প্রজেক্ট পরিচালনা দুস্কর। খুব কম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে যারা গ্রাম বা দুর্গম এলাকা গুলোতে কর্মসুচী পরিচালনা করেন। শহর অঞ্চলে বহু সংগঠন কাজ করলেও গ্রাম অঞ্চলে সেবা কম হচ্ছে। আর শহর অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিতদের তুলনায় গ্রাম মফস্বল বা দুর্গম এলাকার সুবিধাবঞ্চিতরা বেশি অসহায়।

১২- আপ্নারা যাদের খাবার দিচ্ছেন তাদের কোন তালিকা প্রস্তুত করে রাখেন?
উত্তরঃ আমরা সাধারনত নির্দিস্ট সুবিধাবঞ্চিতদের সেবা দিয়ে থাকি। তবে প্রতিদিন ই কিছু সংখ্যাক পুরানো মানুষ বাদ পরে যায় তাদের অনুপস্থিতির কারনে, আবার নতুন কিছু মানুষ সে স্থানটি পুরন করে। তবে আমাদের তালিকাটি ভিন্ন ধর্মী যা আমাদের সংগঠনের কাজের সুবিধার আংগিকে তৈরী করা, এবং এটি যথাযথ কতৃপক্ষ্য ব্যাতিত প্রকাশ করা হয় না।

১৩- আপ্নাদের পেইজে ছবি এতে কম কেন ?
উত্তরঃ আমরা চেস্টা করি ছবি পোস্ট করার পুর্বে সুবিধাবঞ্চিত মানুষটির অনুমতি নিতে, মৌখিক অনুমতি ব্যাতিত আমরা ছবি পোস্ট করি না। এ ছাড়াও খুব ঘনিস্ট ভাবে না চিনলে তার ছবিও প্রকাশ করতে আমরা বিবেচনা করি।

১৪- কতো জন মানুষকে খাওয়ান ?
উত্তরঃ এই মুহুর্তে নিয়মিতভাবে ১০০০ পরিমান মানুষ সেবা পাচ্ছে আমাদের থেকে , এটা কোন কোন দিন ১০০০ অতিক্রম করলেও কোন কোন দিন ৪৮০ এর নিচে নেমে আসে ।

১৫- আপ্নাদের ভলান্টিয়ার দের কোন ছবি নেই কেন?
উত্তরঃ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজে আমরা দেখেছি ভলান্টিয়ার গন নিজের সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড করছেন। আমাদের ভলান্টিয়ার গন আত্মপ্রচার বিমুখ তাই তাদের ছবি পেইজে প্রকাশ হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Proudly powered by HostingRim | Theme: Baskerville 2 by Anders Noren.

Up ↑